সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ উপকূলীয় বরগুনার বিভিন্ন চরে তিন মাস ধরে চলছে শুঁটকি পল্লীতে শুটকি তৈরির কাজ। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে এবারের শুঁটকি ব্যবসা। জেলার লালদিয়া, আশারচর, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা চরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৬ হাজার নারী-পুরুষ শুঁটকি তৈরির জন্য আসেন। জেলার ২০০ শুঁটকি পল্লীতে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ। এই শুঁটকি চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। আশারচরে ২১টি মালিকানার শুঁটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আগে শুঁটকি বিক্রির যে হার ছিল কারোনাকালে সেই হার কয়েকগুণ কমেছে। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার আগে যেসব শুঁটকি ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেসব শুঁটকি পরে বিক্রি হয়েছে ২-৩ শ’ টাকায়। করোনাকালীন এবং বর্তমানে বেশির ভাগ শুঁটকি কোল্ড স্টোরেজে না রাখার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে বিক্রি হচ্ছে না শুঁটকি। শুঁটকির মৌসুমও শেষের পথে। ফলে ক্রেতারাও এখন শুঁটকি কিনছেন না। তাই ব্যবসা অনেকটা মন্দা। মন্দা কাটিয়ে উঠতে আগামী মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
শুঁটকি ব্যবসায়ী মালেক বলেন, আমি এই এলাকায় শুঁটকি ব্যবসার সাথে প্রায় ৩০ বছর ধরে জড়িত। কিন্তু এ বছর শুঁটকির চাহিদা না থাকায় কয়েকগুন লোকসান গুণতে হবে। যা বিগত অন্য কোনো বছরে হয়নি। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রায় তিন থেকে চার বছর লাগবে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এ বছরের ক্ষতিগ্রস্ত শুঁটকি ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করে সরকারিভাবে তাদের প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও সকল ব্যবসায়ীদেরকে সরকারিভাবে ঋণ দেয়ার জন্য একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
Leave a Reply